বড়লেখায় মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

বড়লেখা প্রতিনিধি


আগস্ট ২৬, ২০২০
০২:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২০
০২:৩৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি বাড়ি থেকে দু'টি মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনের নামে মামলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার সদর কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বাদী হয়ে সোমবার (২৪ আগস্ট) বন আদালতে এই মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বড়লেখা পৌরশহরের গাজিটেকা (আইলাপুর) এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম। গত রবিবার (২৩ আগস্ট) চামড়া দু'টি তাদের বাড়ির একটি শৌচাগারের ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে গোপন তথ্য ছিল বড়লেখা পৌরসভার একটি বাড়িতে হরিণের চামড়া মজুদ আছে। এর প্রেক্ষিতে গত রবিবার আইলাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বন বিভাগ অভিযান চালায়। অভিযানে দু'টি বাড়ির ভেতরের একটি শৌচাগারের ছাদের উপর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দু'টি চামড়া উদ্ধার করা হয়। চামড়াগুলো কয়েকমাস আগের। এগুলো শুকিয়ে অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ওইসময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। 

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান। অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আনিসুর রহমান, বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কমর্কতা শেখর রঞ্জন দাস, বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হযরত আলী, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।

চামড়া উদ্ধারের মামলায় অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৭০ মণ পলিথিন জব্দের জের ধরে পৌরশহরে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। তিনি গতকাল সোমবার জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন।

চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, 'কেউ হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে। চামড়া উদ্ধারের সময় আমি কারাগারে ছিলাম। আমার বাড়িটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। তবে যেখানে পাওয়া গেছে সেই জায়গাটা সিসি ক্যামেরার বাইরে। শৌচাগারটি আমরা কেউ ব্যবহার করি না। বাড়ির কাজের লোকজন ব্যবহার করে।'

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার সদর কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বলেন, 'মায়া হরিণের চামড়া উদ্ধারের বিষয়ে দু'জনের নামে মামলা করা হয়েছে।'

 

এজে/আরআর-০৯