‘ট্রেনের টিকেট হস্তান্তর হলে জেল-জরিমানা’

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৪, ২০২০
০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০২০
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন



‘ট্রেনের টিকেট হস্তান্তর হলে জেল-জরিমানা’

নিজের নামে কাটা ট্রেনের টিকেট অন্য কারও কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করলে তিন মাস পর্যন্ত জেল ও জরিমানার কথা জানিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রেল মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রেনে ভ্রমণের জন্য ক্রয় করা টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদী টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয়।

এটি কেবল মাত্র যে ব্যক্তি বা যাত্রীর ভ্রমণের জন্য প্রদান করা হবে সেই ব্যক্তি এবং উহাতে সুনির্দিষ্টভাবে যে সকল স্থানে বা মধ্যে ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করা হবে সেই স্থানসমূহের মধ্যে প্রযোজ্য হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণের নিজ টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদী টিকিট কারো কাছে হস্তান্তর বা বিক্রয় করে তাহলে ওই বিক্রেতা তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় প্রকারের দণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অনুরূপভাবে টিকিটের ক্রেতা অন্যের টিকিট ব্যবহার করলে অথবা ব্যবহার করার চেষ্টা করলে সে একবার একক ভ্রমণের সমান অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য দণ্ডিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন-লাইন/মোবাইল অ্যাপ হতে নিজে টিকিট কেটে রেলভ্রমণ করতে বলা যাচ্ছে এবং অন্যের নামে ক্রয়কৃত টিকিটে রেলভ্রমণ হতে বিরত থাকতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় দেশে সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে আট জোড়া এবং ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালু হয়।

এর ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সঙ্কটে দুটি রুটের ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১৭ জোড়া ট্রেন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছে। সে সময় থেকে শুধুমাত্র অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে।

ইতিমধ্যে আগামী ১৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকি ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।

 

এএফ/০৫