সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ২৩, ২০২০
০৯:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২০
০৯:১২ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আমিনুল হাসানকে ওএসডি করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ডা. ফরিদ হোসেন মিয়াকে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
ফরিদ হোসেন মিয়া এর আগে, বুধবার অনুমোদনহীন হাসপাতাল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আমিনুলের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই আমিনুল হাসানই গত ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি বিষয়ক চিঠিতে লেখেন, ‘সচিব স্যারের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।’
প্রসঙ্গত, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাজে সমন্বয়হীনতা শুরু থেকেই ছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজির নজিরবিহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণার পর। সম্প্রতি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদপ্তর থেকে রিজেন্টের অনুমোদন পাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুক্তিটি করা হয়েছিল।’ এই বক্তব্যের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল। ওই সময়সীমার শেষ দিনে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছে নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি পদত্যাগ করেন। গত মার্চ মাসে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর প্রথমে মাস্ক কেলেঙ্কারির পর থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকসহ নানা কর্তাব্যক্তিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি, জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নমুনা পরীক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটি তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
বিএ-১৯