নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৩, ২০২০
১০:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৩, ২০২০
১০:১৬ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিলেটের শপিং মল ও দোকানপাটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতারা। একই সিদ্ধান্ত নেয় নগরের বন্দরবাজারের হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতিও। তবে এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে মঙ্গলবার (১২ মে) মার্কেটটির বেশ কিছু দোকানপাট খোলা হয়। আর এ সময় ক্রেতাদেরও ভিড় করতে দেখা যায়।
জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে শর্তসাপেক্ষে গত ১০ মে থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। তবে গত শুক্রবার (৮ মে) সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আহ্বানে ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে এক সভা হয়। ওই সভায় ঈদ পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরদিন শনিবার (৯ মে) হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতিও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঈদ পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তবে সেই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার মার্কেটের অনেক দোকানপাট খুলতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসান মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০টি দোকানে চলছে বেচাকেনা। এ সময় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও দেখা যায়নি। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মার্কেট খুললে অবশ্যই সবাইকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
এ সময় মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ রাখায় তাদের সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে। তাদের সামনে দোকান খোলা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, সরকারের নির্দেশনা আছে ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে আমরা সিলেটের ব্যবসায়ীরা করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্কেট বন্ধ রাখার সিধান্ত নিই। তাই কেউ মার্কেট খুললে তাদের জোর করে মার্কেট বন্ধ রাখা যাবে না। তবে তাদেরকে আমরা আজ (মঙ্গলবার) অনুরোধ করেছি যাতে তারা মার্কেট বন্ধ রাখেন।
আর এ ব্যাপারে হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী বলেন, মার্কেট খোলা রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নগরের হকার্স মার্কেট খোলায় অনেক ব্যবসায়ী আজ (মঙ্গলবার) দোকান খুলেছিলেন। আর মার্কেটের সামনে জীবাণুনাশক স্প্রে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে তারাও যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। বুধবার (১৩ মে) দুপুরে আমরা এ ব্যাপারে জরুরি বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এনএইচ/আরআর