নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১১, ২০২০
০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১১, ২০২০
০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
করোনভাইরাস সংক্রমণ রোধের নামে সিলেট নগরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশমুখে আড়াআড়ি বাঁশ ফেলে লকডাউন করে রেখেছেন এলাকাবাসী। তবে মূল ফটকে লকডাউন লেখা হলেও পাড়ার ভেতরে দেদারসে চলছে আড্ডা, ঘুরাফেরা। এতে করে একদিকে যেমন সংক্রমণের ঝুকিঁ বাড়ছে তেমনি অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার মূল ফটকে কাগজে বড় বড় হরফে লকডাউন লিখে ঝুলছে দেওয়া হয়েছে। যেসব মহল্লার প্রবেশপথে স্থায়ী গেইট আছে সেগুলো লাগিয়ে রাখা হচ্ছে সারাক্ষণ। আবার যে সকল মহল্লায় স্থায়ী গেইট নেই সেসব ক্ষেত্রে আড়াআড়ি বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে দেখলে যে কারও মনে হবে খুব সচেতনতা থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভেতরে গেলে উল্টোচিত্র দেখা যায়। ভেতরে তরুন-যুবারা আড্ডা দিচ্ছেন রাস্তায়, কেউ কেউ ক্যারাম খেলছে। আর মূল ফটকে বাঁশ দিয়ে বন্ধ থাকায় টহল পুলিশ যখন তখন এলাকার ভেতরে যেতে পারছে না। এতে করে তারাও নিশ্চিন্ত মনে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সুযোগে কোনো কোনো মহল্লায় আবার পান বিড়ির দোকান খুলে রেখেছেন দোকানিরা। এতে এলাকাগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি। এদিকে মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার বা দরকারি কাজে বাইরে যাচ্ছেন তাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তির মুখে। অনেকে রিকশায় করে বাজার নিয়ে এসে মূল ফটকে তা থামাতে হচ্ছে তারপর হেটে হেটে বাজার নিয়ে যেতে হচ্ছে বাসায়। সবজিওয়ালারাও ঢুকতে পারছে না মহল্লায়।
এরকম একটি ঘটনার কথা জানান নগরের এক রিকশাচালক। তিনি জানান, বন্দর থেকে বাজার নিয়ে বারুতখানা মুখে এসে দেখেন বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই সড়কটি। পরে এখানেই রিকশা রেখে কাঁধে করে বাজার পৌঁছে দিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবুল কালাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘এটা সর্ম্পূণ বেআইনী। একটা কুচক্রী মহল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এধরণের কাজ করছে। এ ধরণের কিছু দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিলেট কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, ‘লকডাউন করবে জেলা প্রশাসন, কোন ব্যক্তি এভাবে লকডাউন করতে পারেন না। এটা সর্ম্পূণ বেআইনী কাজ। ইতিমধ্যে কিছু এলাকার প্রবেশ পথ থেকে এসব বাঁশ সরানো হয়েছে।’
এনএইচ/এএফ-০৮