ওসমানীতে করোনা পরীক্ষার জট বাড়ছে, বাড়ছে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ০৭, ২০২০
১২:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৭, ২০২০
১২:২৪ অপরাহ্ন



ওসমানীতে করোনা পরীক্ষার জট বাড়ছে, বাড়ছে আতঙ্ক
প্রস্তুত করা হচ্ছে শাবির ল্যাব

সিলেট বিভাগে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে ওসমানী হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় সিলেটে বাড়ছে সংক্রমনের ভয়। এদিকে আগামী সপ্তাহ থেকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি ল্যাব প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, সিলেট বিভাগের চার জেলার অনেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। এর ফলে তারা অনেক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করছেন। এতে করে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। এরকম একটি ঘটনা দেখা যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। গত ৫ মে এই উপজেলার ৬ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। বেশ ক’দিনেও রিপোর্ট না আসায় এদের মধ্যে ৪ জন ঢাকায় তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেছেন। 

জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে এখানে। সেখানে একদিনে দুই ধাপে সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী,  গত ৭ এপ্রিল থেকে ওসমানীতে পরীক্ষা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার (৫ মে) পর্যন্ত নমুনা জমা হয়েছে ৫২৬৫টি। এর মধ্যে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ৪২৭০টি। প্রচুর নমুনা জমা পড়ে যাওয়ায় জট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ১১৩৩টি নমুনা পাঠানো হয়। বাকিগুলো সিলেট ওসমানীতে পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৯৫টি নমুনা পরীক্ষার বাকি আছে।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘পরীক্ষাগারে একদিনে সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু অনেক নমুনা বাকি থেকে যাচ্ছে। এটাই আমাদের সমস্যা। যেমন গত মঙ্গলবার ৩৩৮ নমুনা সংগ্রহ করা হয় কিন্তু পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮৬টি। আবার হয়ত আমাদের ঢাকায় নমুনা পাঠাতে হবে’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি ল্যাব প্রস্তুত হচ্ছে। তখন এই জট কিছুটা কমবে।’

এনএইচ-০১/জিএসএস-০১/বিএ-০৪