ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ০৭, ২০২০
০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ০৭, ২০২০
০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা একমাসে ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জনের রিপোর্ট হাতে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত কারো শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। বাকি ১১ জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয় গত ৬ এপ্রিল। প্রথমদিকে ঢাকায় নমুনা পাঠানো হত। এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ মে) সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর সংখ্যা খুবই কম। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ হাসপাতালে আসছেন না। নেই প্রচারণামূলক কোনো ব্যানার, ফেস্টুন বা লিফলেট। দুজন রোগীকে পাওয়া গেল যারা ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন। আরেকজন এসেছেন অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে। কথা হয় সেবা নিতে আসা তসলিম আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তার দেখাতে এসেছি। এখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়- এটা আমি আগে জানতাম না।’
হাসপাতালের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখানে করোনার ভয়ে রোগী খুব কম আসছে।’ মানুষকে সচেতন করার কোনো উদ্যোগ না থাকায় নমুনা দিতে লোকজন হাসপাতালে আসছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন দেবনাথ বলেন, ‘মানুষ নমুনা দিতে আসে না। তাই এখানে নমুনা সংগ্রহ কম হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি লোক আনতে, কিন্তু ভয়ে অনেকে আসছে না। ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে নিজের মতো করে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু লোক আসছে না। হয়তো তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। যার কারণে এখানে নমুনা সংগ্রহ কম।’ তিনি বলেন, ‘প্রচার করার জন্য আমরা মসজিদ ও বিভিন্ন ক্লাবকে বলেছি। যাতে মানুষ উদ্ভুদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসে। কারণ রোগ নির্ণেয়ের জন্য নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
এসএসি-০১/এনপি-১৬