খেলা ডেস্ক
মে ০৫, ২০২০
০১:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৫, ২০২০
০১:১৭ অপরাহ্ন
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের এক্সট্রা-টাইমে মাতেরাজ্জির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এই কিংবদন্তি। মাতেরাজ্জি তাকে এমন কিছু বলেন যার ফলে জিদান রেগে গিয়ে মাথা দিয়ে ঢুস মেরে বসেন।
জিদানের সেই ঢুস ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ১৪ বছর আগের সেই ঘটনা আলোচিত হয়। সেদিন মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরে জীবনের শেষ ম্যাচে লাল কার্ডের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মাঠ ছাড়েন জিদান। পেনাল্টি শুটআউটে ফাইনাল জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে ইতালি। মজার ব্যাপার হলো, নিয়মিত সময়ের শেষে স্কোর ছিল ১-১, এবং গোল দুটি করেছিলেন যথাক্রমে জিদান ও মাতেরাজ্জি!
কুখ্যাত এই ঘটনা নিয়ে গত ১৪ বছর অনেক জলঘোলা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, জিদানের মায়ের সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলেন মাতেরাজ্জি। যার ফলে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ফরাসি তারকা। তবে ২০১৭ সালে মাতেরাজ্জি স্বয়ং একথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, 'আমার মাকে আমি হারিয়েছি ১৫ বছর বয়সে। আমি কোনোদিন কারোর মাকে অসম্মান করতে পারি না। আমি ওর বোন সম্পর্কে বলেছিলাম। জিদানের মাথা দিয়ে গুঁতো? সেই মুহূর্তে একেবারেই অপ্রস্তুত ছিলাম। নাহলে কী করে বসতাম কে জানে? দুজনকেই হয়তো লাল কার্ড দেখতে হতো!'
ইতালির ডিফেন্ডার আরও বলেছেন, 'এর আগে মাঠের মধ্যে আমাদের সামান্য কিছু কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। ম্যাচের প্রথমার্ধে জিদান গোল করার পর আমাদের কোচ (মারসেলো লিপ্পি) আমাকে বলেছিলেন ওকে মার্ক করতে। প্রথমবার আমাদের মধ্যে ঠোকাঠুকি হওয়ার পর আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু ওর প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল না। বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে ১১০ মিনিট পর্যন্ত। তৃতীয়বার ধাক্কাধাক্কির পর আমার মুখের ভাব দেখে জিদান বলে, 'আমার জার্সিটা তোমাকে পরে দিয়ে দেব।' আমি বলি, 'তোমার জার্সিতে আমার কোনো আগ্রহ নেই, বরং তোমার বোনকে দিলে নিয়ে নেব।' এই একটি কথাতেই জিদানের মাথায় আগুন জ্বলে যায়। তারপরের ঘটনা সবার জানা। যদিও এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন জিদান।
এআরআর/০৯