সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ০৯, ২০২০
১২:২১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২০
১২:২১ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সভা ও কার্যক্রমে তার সংস্পর্শে এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছিলেন—এরকম সন্দেহে তারা কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম।
জানা গেছে, বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও বাসায় বসেই টেলিফোনে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সহকর্মীদের। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও বাড়িতে কোয়ারিন্টাইনে আছেন। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও কোয়ারেন্টিনে আছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বুধবার তিনি তার বাংলোয় বিশ্রামে ছিলেন। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক , সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুধবার অফিস করেননি। জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টিনে নেই তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু আমি তাদের সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যাতে কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের সব কাজ চলছে।’ করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমি আসলে কোয়ারেন্টিনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।
করোনা বিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৬ জন। তারা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সূত্র-বাংলা ট্রিবিউন