করোনার শঙ্কায় কোয়ারেন্টিনে দুই মণিপুরি পরিবার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৫, ২০২০
০২:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২০
০২:৪২ পূর্বাহ্ন



করোনার শঙ্কায় কোয়ারেন্টিনে দুই মণিপুরি পরিবার
পরীক্ষায় পাওয়া যায়নি করোনার উপস্থিতি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামের আপন সিংহ (৩০) এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ্ হয়ে পড়েন। তিনি ঢাকায় শিক্ষকতা করেন। আপন সিংহ'র এই আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়াকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মনে করে গ্রামবাসী পরিবারটিকে অনেকটা একঘরে করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। পুরো উপজেলায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে- এই শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার দেশে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এর আগে অসুস্থ হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষক আপন সিংহ'র আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামের বাড়ি ও মাধবপুর ইউনিয়নে তার আত্মীয়ের বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিন যেতে বলেন গ্রামবাসী। এতে মণিপুরি দুই পরিবারের সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টিনে যান।

আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি চিকিৎসক দল ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ভানুবিল গ্রামে শিক্ষক আপন সিংহ'র বাড়িতে যান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) পরিধান করে চিকিৎসক সৌমিত্র সিনহার নেতৃত্বে ২ সদস্য বিশিষ্ট ১টি দল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষক আপন সিংহ'র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তার কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি  করোনায় সংক্রমিত নন। বাড়ি ফিরে নিজের বাড়ি ও মাধবপুরে এক বোনের বাড়িতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করায় খাদ্যে কিছুটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি কিছুটা অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন।

চিকিৎসক সৌমিত্র সিনহা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আপন সিংহ'র কিছুটা এলার্জি সমস্যা রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ তার দেহে নেই। তার পরও শিক্ষক আপন সিংহকে নিজ বাড়িতে ১টি ঘরে আলাদা হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, আপন সিংহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তার পরও তাকে নিজ বাড়িতে একটি আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।