‘সিলেটের চা বাগান চালু রাখা যেতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ৩১, ২০২০
০৭:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২০
০৭:১১ অপরাহ্ন



‘সিলেটের চা বাগান চালু রাখা যেতে পারে’

উৎপাদনমুখী ও রপ্তানিমুখী শিল্প চালু রাখতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চা পাতা দূরত্ব বজায় রেখে তোলা হয়। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। তারা প্রকৃতির মধ্যেই থাকে, সেখানে সংক্রামিত হওয়ার সুযোগ নেই। সিলেটের চা বাগান চালু রাখা যেতে পারে।’ তবে যখন চা পাতা জমা করা হবে তখন দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেণ, ‘সিলেটে যেহেতেু করোনায় কেউ সংক্রামিত হয়নি তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় সিলেট জেলা প্রশাসেন সম্মেলক কক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে প্রচুর বিদেশী আসা সত্ত্বেও সিলেটে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে এটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটে দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ যারা তাদের সহায়তারা করা দরকার। তারা দিন আনে, দিন খায়। তাদের ছেলে মেয়েরা তাদের অপেক্ষায় তাকে। তাদের তালিকা করে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডেও সহায়তা দিতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সিলেটে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেটের চা শিল্প উৎপানমুখীখাত কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়। এই কারণে চা বাগান বন্ধ করা হয়নি। তবে গতকাল সোমবার থেকে কয়েকটি চা বাগানের কর্তপক্ষ তা বন্ধ করেছেন। আমরা চা বাগান খোলা রাখতে চাই।

তিনি জানান, গত দুই মাসে প্রায় ২৬ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। শুধু মার্চ মাসে এসেছেন ৯ হাজার। যাদের মধ্যে যাদের করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাদের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল রিপোট নেগেটিভ এসেছে।

তিনি আরও জানান, সিলেটের সকল হাসপাতালে আলাদা ভাবে সাধারণ সর্দি-কাশির রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কেউ চিকিৎসা ছাড়া ফেরত যাবেন না। সিলেটের ৪২০ শয্যার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয়েছে প্রয়োজনে পুরো হাসপাতাল আমাদের দেওয়া হবে। গতকাল রাতেই সিলেটে আরও ১৫ হাজার পিপিই এসেছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, সিলেটের প্রত্যেক উপজেলায় ইমামদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের কমিটি করা হয়েছে। টেস্ট করার আগে কেউ মারা গেলে তাদের পিপিই দিয়ে দাফন করা হবে।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা সচেতনতায় গুরুত্ব দিয়েছি। প্রত্যেক থানায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি। নিজস্ব উদ্যোগে প্রত্যেক থানায় জীবানুনাশক স্প্রে করেছি। সিলেটে মানুষ এখন সচেতন। শুধু সন্ধ্যার সময় কিছু মানুষ বাজার করতে বের হয়। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আমরা কাজ করেছি। সিলেটের সকল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানের পাশাপাশি সার, বীজের দোকানও যেনও খোলা রাখা হয়।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। সকল উপজেলায় নেতাকর্মীদের জনগনকে সহায়তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


নাচৌ-০১/আরসি-০১