সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ০৬, ২০২৩
০৩:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৬, ২০২৩
০৩:২১ পূর্বাহ্ন
ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউকে'র উদ্যোগে লন্ডনের ইমপ্রেশন ভেন্যুতে গত ১ অক্টোবর রবিবার ঐতিহ্য ও গৌরবের ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউ হ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মেয়র রহিমা রহমান।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউকে'র সভাপতি তছউর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাথনাল গ্রীন অ্যান্ড বো আসনের সাংসদ রুশনারা আলী এমপি, টাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার জাহেদ চৌধুরী, এনফিল্ড কাউন্সিলের কাউন্সিলার ডেপুটি মেয়র আমিরুল ইসলাম।
অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর ও মহিলা সম্পাদিকা নাজিয়া আক্তার রেবিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আজন উদ্দিন, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নুরুল ইসলাম, ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, মুজিবুল হক মনি, সৈয়দ এনামুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক সলিসিটর কাওসার হোসেন কোরেশি, ব্যারিষ্টার তাজ উদ্দিন শাহ, আমিনুল হক জিলু।
অনুষ্ঠানে ‘স্মৃতির আঙিনা’ নামে ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার ও চার্টার অ্যাকাউন্ট ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব। বক্তব্য দেন উপকমিটির আহবায়ক ময়নুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, অর্থ উপকমিটির আহবায়ক ফরিদ আহমদ, অভ্যর্থনা উপকমিটির আহবায়ক সেলিম উদ্দিন চাকলাদার ও রহিম উদ্দিন মুক্তা, প্রচার ও সাংস্কৃতিক উপকমিটির আহবায়ক আলী রেজা।
এর আগে শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এতোয়ার হোসেন মুজিব। পরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম।
প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তছউর আলী। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নুরু কার্যকরী কমিটির নাম ঘোষণা করেন এবং সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন শামীম আহমেদ। পুনর্মিলনী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন চিকিৎসক মাসুক উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে ছিল। প্রথম পর্বে আলোচনা সভা। দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘একটি জাতিকে বিচার করা হয় শিক্ষা দিয়ে। যে জাতি শিক্ষায় যত এগিয়ে, সভ্যতায় বিনির্মানে তাঁরা ততবেশী স্বয়ং সম্পূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইলের শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে । এটাই আমাদের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহক আমাদের শিক্ষার্থীরা সমাজ ও দেশের বিভিন্ন জনকল্যাণমুলক কাজে অংশ গ্রহণ করেছেন।’
তারা বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে আমাদের একখণ্ড ঢাকা দক্ষিণ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনন ইউকে'র নাম উজ্জ্বল করেছে। জ্ঞানই শক্তি জ্ঞানই আলো। শিক্ষাই গতি, শিক্ষাই করবে দূর জগতের সকল কালো অধ্যায় । শিক্ষাই পারে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীবন ধারাকে উন্নত থেকে উন্নততর করতে।’
তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘ঢাকাদক্ষিণ পরগনার মধ্যে প্রথম শিক্ষার জন্য, শিক্ষিত জাতি গঠনের জন্য, এলাকার শিক্ষানুরাগী ও জ্ঞান পিপাসুরা ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ দত্তরাইল মিডল ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতারা হলেন রায়বাহাদুর প্রকাশ চন্দ্র দেব চৌধুরী, বাহা উদ্দিন চৌধুরী ও কালী কৃষ্ণ দত্ত চৌধুরী । প্রথমদিন থেকে আজ অবধি ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতি, ও ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহক হয়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
পরে সিম্পলী মুভের সত্বাধিকারী শাহরিয়ার আহমদ সুমন ও তানহার আহমেদ তুহিনের পক্ষ থেকে লোগো সম্বলিত ‘মগ’ উপহার দেওয়া হয়। শাহরিয়ার আহমদ সুমন তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, তিনিও একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাই ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।উন্নয়নের অংশীদার হবেন।
এএফ/২২
