সিলেটের সারদা হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকাল সন্ধ্যা অনশন চলছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
০৮:২৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
১০:৩০ অপরাহ্ন



সিলেটের সারদা হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকাল সন্ধ্যা অনশন চলছে
‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হতাশা দূর করতে হবে’

নগরের ঐতিহাসিক শারদা হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ অনশন ও গণ অবস্থান কর্মসূচী।


সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৭ দফা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সকাল-সন্ধ্যা অনশন ও গণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

আজ শনিবার (১৬  সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে নগরের ঐতিহাসিক শারদা হল প্রাঙ্গণে এ গণ অনশন ও গণ অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

অনশন কর্মসূচিত অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান সরকারি দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সবগুলো সংবিধান স্বীকৃত, যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত অধিকার। সংসদের চলমান অধিবেশনে আইন করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সংখ্যালঘু ও জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান হতাশা দূর করতে হবে।’

সংগঠনের মহানগর সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব এর সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর বোর্ড গঠন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, পৃথক পৃথক বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ফাউন্ডেশন, খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন গঠন অত্যন্ত ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক দাবী৷ পৃথিবীর কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন করতে হয় না। কিন্তু, দুঃখজনক ঘটনা যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চললেও সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটিও বাস্তবায়ন করেনি। যার দরুন বাধ্য হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রাস্তায় নেমে বিগত ৩ বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে৷ ২০২২ সালে ও দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সকাল-সন্ধ্যা গণ অনশন ও গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু, সরকার তাতেও কর্ণপাত করেনি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘সংসদের চলমান চলমান অধিবেশনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ৬ই অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়া হবে।’ তারা বলেন, ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ঘরে ফিরে যাবে না।’


এএফ/০৮