ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: শোকের মাতম রুমেলের বাড়িতে

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
০৫:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
১১:৩৩ অপরাহ্ন



ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: শোকের মাতম রুমেলের বাড়িতে


সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাকায় দাদা পীরের মাজার সংলগ্ন বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা রুমেল সিদ্দিকীর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমেলের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় সদর উপজেলার কুরবান টিলায় গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছায় রুমেলের লাশ। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-স্বজন। তাদের আহাজারিতে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি প্রতিবেশীরাও। 

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় স্থানীয় জামে মসজিদে রুমেলের দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

মরদেহ বাড়িতে পৌছার পর রুমেলের বাবা আব্দুল গণি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, রুমেল তার বড় ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। রুমেলের স্ত্রী ও দেড় বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

বড় ছেলেকে হারিয়ে পুরো পরিবারই বিপাকে পড়েছে বলে জানান তিনি।

দাদার কোলে বসা রুমেলের শিশুপুত্র আদনানও এসময় অঝোরে কাঁদতে থাকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, রুমেলের ছোট আরো ভাই বোন থাকলেও  রুমেলই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাকে হারিয়ে পুরো পরিবারই বিপাকে পড়েছে। পুরো পরিবারে অন্ধকারের ছায়া নেমে এসেছে এই দুর্ঘটনায়।

রুমেল সিদ্দিকী বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে রাজধানী শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি মারা যান। সম্প্রতি সিলেট এমসি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা শেষ করেছেন ।

রুমেলের চাচাতো ভাই আহমেদ শাহনুর জানান, আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন রুমেল। তার ঘরে দেড় বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পরিবারের সবার কান্না দেখে শিশুটি চিৎকার করে উঠছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৭ জন ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ও ২ জন পথচারী। তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অগ্নিদগ্ধদের শরীর ১৫ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।

দগ্ধরা হলেন- শাহপরান এলাকার বাসিন্দা ও পাম্প কর্মচারী মিনহাজ আহমদ, ইমন, মুহিন, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের বাদল দাস, সদর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার তারেক আহমদ, একই এলাকার রুমান, তাহিরপুরের শ্রীপুরের রিপন মিয়া, একই গ্রামের লুৎফুর রহমান।


এএফ/০৫