কানাইঘাট প্রতিনিধি
আগস্ট ১২, ২০২১
০১:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১২, ২০২১
০১:২০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের বাদশা বাজারে মঙ্গলবার (১০ অগাস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানের আসবাবপত্র ও মালামাল। গুরুতর আহত অবস্থায় একপক্ষের ৭ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএমের নির্দেশে থানার এসআই এস এম মাইনুল ইসলাম ও এএসআই মোখলেছ একদল পুলিশ নিয়ে তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তারা হলেন- সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মকবুল আলীর পুত্র হারুন রশিদ, তার ভাই মাসুক আহমদ, শফিক আহমদ, ইমরান আহমদ ও আতিক আহমদ।
গুরুতর আহত অবস্থায় বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা বাজারের ব্যবসায়ী নজিব আলী (৮৫), তার ভাই মুজম্মিল আলী (৬২), বিলাল আহমদ (৪০), শামীম আহমদ (৩৩), মোহাম্মদ আলী, হেলাল আহমদ (৫৫) ও জসিম উদ্দিনকে (৩০) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত মুজম্মিল আলীর পুত্র এনাম উদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনসহ ২৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্যবসা সংক্রান্ত পাওনা টাকা নিয়ে সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত হারুন রশিদ ও বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামের মুজম্মিল আলীর পুত্র এনাম উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাদশা বাজারে এই দু’জনের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এলাকার কয়েকজন মুরব্বী বিষয়টি সালিশে দেখে দেবেন বলে উভয়পক্ষের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আমানত নেন।
এনাম উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হারুন রশিদের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদশা বাজারে গিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে ও ৫টি দোকানপাট ভাঙচুর করে। হামলায় তাদের ১২ জন আহত হন ও ৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে হারুন রশিদের পক্ষের লোকজন জানান, পাওনা টাকা নিয়ে এনাম উদ্দিন হারুন রশিদকে বাদশা বাজারে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে রাত ১১টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় তাদের ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন ও তাদের ৬/৭ জন আহত হন।
গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত থাকায় তাদেরকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
এমআর/আরআর-১০