শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ
আগস্ট ১০, ২০২১
০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১০, ২০২১
০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও ভোগান্তির পরিমাণ কম নয়। গত শনিবার (৭ আগস্ট) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে টিকা দিতে আসা অনেকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাননি। বিফল হয়ে ফেরত যেতে হয়েছে তাদের। পরদিন রবিবার দ্বিতীয়বার টিকাদান শুরুর পর থেকেই মানুষের আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। আজ সোমবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
গত শনিবার সারা দেশের ন্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের ৫টি কেন্দ্রে ৩ হাজার জনকে গণটিকা প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি উপজেলাতেও প্রতিদিনের টিকাদান চলছে। হাসপাতালে এখন টিকা গ্রহণকারীর চাপ প্রচুর বেড়েছে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে টিকা নিতে ইচ্ছুক লোকজনকে হাসপাতালে আসতে দেখা যায়। সকাল থেকেই লোকজন কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন টিকার অপেক্ষায়।
জানা গেছে, সারা দেশের মতো ফেঞ্চুগঞ্জেও করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। উপজেলায় প্রথম টিকাদান যখন শুরু হয়, তখন টিকাদানের জন্য লোকজনের অপেক্ষায় বসে থাকতে হতো স্বাস্থ্যকর্মীদের। আর এখন টিকা দিয়ে কূল পাচ্ছেন না তারা। এমনকি টিকা না পেয়ে দীর্ঘ সময় পর হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে উপজেলার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, টিকা নিতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন। অনেকে কাঙ্ক্ষিত টিকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। আবার টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেকে হতাশ হয়ে ফিরছেন।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় কচুয়াবহর গ্রামের ছমির আলীর। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে টিকা গ্রহণে নিবন্ধন কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসেন তিনি। এসে জানতে পারেন টিকা শেষ হয়ে গেছে। সিলেটে টিকা আনার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। পরদিন টিকা নিতে হবে। তাই তাকে টিকা না দিয়ে ফেরত আসতে হয়।
একটি কোম্পানির বিক্রয়কর্মী সেলিম হাওলাদার এসেছিলেন টিকা নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আমি কোম্পানিতে কাজ করি। ভোরে বের হই। আজ কাজ কম, তাই দুপুরে সুযোগ পেলাম। এখন এসে দেখি টিকা নেই। আগামীকাল আসতে বলেছে।
নাম প্রকাশ না করে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী বলেন, আমার মা ও পরিবারকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। এখন শুনি টিকা নেই। তাই আজ আর হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) নীহার রঞ্জন পাল বলেন, এখন প্রতিদিন টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সে তুলনায় টিকা অনেক কম। গত রবিবারও মানুষকে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে টিকা এনে তারপর দিয়েছি। সেজন্য আজ (সোমবার) অনেক লোক টিকা পাননি। আমাদের চাহিদামতো টিকা না পাওয়ায় প্রতিদিন কিছু না কিছু লোক অবশিষ্ট থেকে যাচ্ছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, টিকার সরবরাহ অনেক কম। সে তুলনায় টিকা গ্রহণকারীর অনেক বেশি। যার জন্য সবাইকে প্রতিদিন টিকা দেওয়া সম্ভব হয় না। কিছু লোক বাকি থেকে যায়। আজ (সোমবার) সকালে টিকা আনতে লোক গেছে। কাল (মঙ্গলবার) থেকে আবার যথারীতি টিকাদান চলবে। সবাই টিকা পাবেন।
এসএ/আরআর-০৯