সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৯, ২০২১
০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২১
০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। চলতি বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের অংশ হিসেবে ১৮ এপ্রিল ফরেন সার্ভিস ডে পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে এম হোসেন আলীর নেতৃত্বে কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান মিশনের ৬৫ জন বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
ভিডিও বার্তায় ড. মোমেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব প্রদান, মিয়নমারের বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান-এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার পরিচয় বহন করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে পৃথিবীর অনেক প্রখ্যাত নেতারাও এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বাংলাদেশের অনন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশের অবস্থান ও সংশ্লিষ্টতার কারণে ১৯৭১ সালের মতো দক্ষিণ এশিয়া আবারও সারা বিশ্বে কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এম হোসেন আলীর নেতৃত্বে কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান মিশনের ৬৫ জন বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এর আগে সে বছর ৬ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের দিল্লী দূতাবাস থেকে দু'জন কর্মকর্তা কে এম শিহাবুদ্দীন ও আমজাদুল হক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। তাদের সাহস ও দেশপ্রেম অনুসরণ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরব হন। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসব সাহসী সন্তানদের অনুপ্রেরণার গর্বিত উত্তরাধিকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয় ’ কূটনীতিতে বঙ্গবন্ধুর এ মূলমন্ত্রকে বাংলাদেশ অনুসরণ করে চলেছে এবং তা গত ৫০ বছর এদেশের কূটনীতিতে সময়োচিত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে দূরদর্শী কূটনীতির সূচনা করেছিলেন, তারই সফল উত্তরাধিকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক কূটনীতিতে অভাবনীয় সাফল্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
ভিডিও বার্তায় জাতিগঠনে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাংলদেশীর অবদান গভীর শ্রদ্ধায় উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতি আস্থাশীল এবং সবসময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল বন্ধুরাষ্ট্রকেও ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।
বিএ-১৪
