সিলেট মিরর ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সিলেটে আরেকটি মামলা হয়েছে। প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৩য়) আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন জৈন্তাপুরের মাওলা স্টোন ক্রাশার মিলের মালিক শামসুল মাওলা। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে শামসুল মাওলার পক্ষ থেকে আগেই তিনটি মামলা হয়। বৃহস্পতিবার দায়ের করা হয় আরেকটি প্রতারণা মামলা। ব্যবসায়ী শামসুল মাওলাকে দেওয়া সাহেদের একটি চেক তার বা তার কোম্পানির নয়। ভুয়া একটি চেকে ১০ লাখ টাকার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে শামসুল মাওলাকে প্রদান করেন সাহেদ। পরবর্তীতে সেটি অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের চেক বলে ধরা পড়ে। এ মর্মে বৃহস্পতিবার সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাটিজস্ট্রেট (৩য়) আদালতে আরেকটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রæত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ৪ মার্চ সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩ টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। সাহেদের দেওয়া ১০ লাখ টাকা করে ২টি চেকে ২০ লক্ষ টাকা ও আরও একটি চেকে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় তিনি এ ৩ মামলা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা বিলম্বের পর গত ৮ নভেম্বর আলোচিত সেই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে বিবাদিপক্ষের আইনজীবী সাহেদের জামিনের আবেদন করলে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতের বিচারক হারুনুর রশিদ নাকচ করে সাহেদের বিরুদ্ধে জারি করেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠার পর গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

বিএ-০৩