সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ০৯, ২০২০
০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০৯, ২০২০
০৪:১১ পূর্বাহ্ন
সিলেটের এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হাফিজ ইফজাল আহমদ হত্যার উদঘাটন সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তার মা আছারুন নেছা। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
ইফজালের মা দাবি করেন, তার ছেলে ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়নি। তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে। ছেলের মৃত্যুর ১৪ দিন পরও মৃত্যু রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, সিলেট নগরের উপশহর ‘বি’ ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাসা বাহার মঞ্জিলে আমার মেয়ের বাসায় থাকতো ইফজাল। গত ২৫ জুন সকালে ওই ভবনের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের কাপ্তানপুরে নিজ গ্রামে দাফন শেষে ২৬ তারিখে শাহপরাণ থানায় এ নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
আছারুন নেছার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ইফজালের আপন চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অনেকে দোষারুপ করে বলছেন, ইফজালের পরিবার এখন পর্যন্ত মামলা করেনি কেন? আমার অন্য ছেলেরা প্রবাসে থাকার কারণে মেয়ের ভাসুর আবুল হোসাইনকে মামলা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সঙ্গে ছিলেন কানাইঘাট উপজেলার ৮ নম্বর ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনসহ কয়েক জন। আবুল হোসাইন অপমৃত্যুর এই আবেদন দাখিল করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে উনাকে যেভাবে বলে পাঠানো হয়েছিল থানায়, দেখা যায় অপমৃত্যু মামলায় আমাদের কথার কোনো প্রতিফলন নেই।’
তবে এটাকে অপমৃত্যু বলে বিশ^াস করতে চান না আছারুন নেছা। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু, আজ ১৪ দিন হয়ে গেল, এখনও জানতে পারিনি আমার ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করেছে।’
তিনি সুষ্ঠু ও অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তার সন্তানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করে খুনিদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অধিকতর তদন্তের স্বার্থে শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অথবা অন্য কোন বিশেষায়িত সংস্থার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছি।’ নিহত ইফজালের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ‘অপমৃত্যু’ মামলার বাদি আবুল হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলাম। বারবার চেষ্টার পরও শাহপরাণ থানা পুলিশ হত্যা মামলা নিতে রাজি হননি।
এ সময় নিহত ইফজালের আপন চাচাতো ভাই আনছার উদ্দিনসহ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-শুভাকাক্সক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরসি-০৫
